Sunday 14 May 2017

বাংলা গদ্যের বিকাশে ফোট উইলিয়ম-কলেজের ভূমিকা (RAHUL CHAKRABORTY, ROLL - 57)


                রাষ্ট্রশাসন পরিচালনার জন্য ইংরেজ সিভিলিয়ানদের এদেশের ভাষাশিক্ষা করা একান্তভাবেই প্রয়োজন ছিল।কম্পানি এই উদ্দেশ্যে কলকাতায় একটি কলেজ স্থাপন করলো ১৮০০খ্রীঃ ৪ঠা মে।এই কলেজটি হল ফোউইলিয়ম-কলেজ এই কলেজ থেকেই ঊনিশ শতকের বাংলা গদ্যে নবযুগের সূত্রপাত হয়।তাই বাংলা গদ্যের গঠন পর্বে এই কলেজের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ ।
             বস্তুত বিদেশীদের যোগ্য পাঠ্যপুস্তক রচনার প্রয়োজন থেকে বাংলা গদ্য লেখার প্রয়াস সূচিত হল-
উইলিয়ম কেরী ঃ-ফোউইলিয়ম-কলেজ গোষ্ঠিদের মধ্যে কেরী অন্যতম।কেরী বাংলা গদ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন বাইবেলের অনুবাদ প্রসঙ্গে।তার রচিত দুটি গ্রন্থের নাম
                                      ১)কথপোকথন -১৮০১
                                      ২)ইতিহাসমালা-১৮১২
এই গ্রন্থগুলি সংকলিত হয়েছে ইংরেজদের এদেশের কথ্য ভাষার সাথে পরিচিত করার জন্য।
রামরাম বসু ঃ- ইনি ফারসি  ও সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। তাঁর দুটি গ্রন্থ হল-
                                      ১)রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র -১৮০১
                                      ২)লিপিমালা-১৮০২
এই গ্রন্থগুলি সংকলিত হয়েছে ইংরেজদের এদেশের কথ্য ভাষার সাথে পরিচিত করার জন্য।
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ঃ-তার লেখা  সুখ্যাত গ্রন্থগুলি হল-
                                      ১)বত্রিশ সিংহাসন-১৮০২
২)হিতোপদেশ-১৮০৮
৩)রাজাবলী-১৮০৮
৪)বেদান্তচন্দ্রিকা -১৮১৭
৫)প্রবোধচন্দ্রিকা-১৮৩৬
উপরিউক্ত রচনাগুলিতে তৎসম শব্দ ও কথ্য ভাষার নমুনা পাওয়া যায়।
অন্যান্য গদ্যাকার ঃ- অন্যান্য গদ্যাকারদের নাম ও গ্রন্থের নাম নিম্নে দেওয়া হল –
                                      ১)হিতোপদেশ-১৮০২-গোলকনাথ শর্মা
২)ওরিয়েনন্টাল ফেবুলিষ্ট-১৮০৩-তারিণীচরণ মিত্র
৩)তোতা ইতিহাস-১৮০৫-চন্ডীচরণ মুনসী ।
৪)হিতোপদেশ-১৮০৮-রামকিশোর তর্কচূড়ামণি ।

সবশেষে আমরা বলতে পারি বাংলা গদ্যের বিকাশে ফো উইলিয়ম-কলেজের ভূমিকা বহুতল গৃহের ভিত্তি  স্থাপনের মত গুরুত্বপূর্ণ।

No comments:

Post a Comment